লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, এনডিসি, পিএসসি (অবসরপ্রাপ্ত) ১৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৭৫ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশন লাভের মাধ্যমে তার কর্মজীবনের সূচনা করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, মিরপুর, ঢাকা থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
তার বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনে তিনি আর্টিলারি রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার, দুটি আর্টিলারি ব্রিগেডের কমান্ডার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সেনা সদর দপ্তরে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, মাস্টার জেনারেল অফ অর্ডিন্যান্স এবং সামরিক সচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ইলেকট্রিক ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কর্নেল কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জনাব চৌধুরী বাংলাদেশ সামরিক একাডেমির প্রশিক্ষক এবং ইন্টার-সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ডে গ্রুপ টেস্টিং অফিসার হিসেবেও কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধীনে পরিচালিত বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সময়ে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, রুয়ান্ডা এবং জর্জিয়াতে জাতিসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক ও স্টাফ হিসেবে কাজ করেন।
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমান বিজিবি) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার ফলে বিডিআর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সফল হয়েছিল। সীমান্ত এলাকায় অপরাধ ও চোরাচালান প্রতিরোধে তার গৃহীত কৌশলগুলো অত্যন্ত কার্যকর ছিল। তার নেতৃত্বে পরিচালিত সীমান্ত সুরক্ষা মিশনগুলো সফলভাবে সম্পন্ন হয়, যা বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি)-এর সক্ষমতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছিল। ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের পর তিনি সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী দুই সন্তানের জনক (এক ছেলে ও এক মেয়ে)। তার স্ত্রীর নাম লায়লা আরজু, ছেলে ড. রিসাদ চৌধুরী রবিন এবং মেয়ে রাসনা চৌধুরী লিজ। চাকরির কারণে তিনি বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন।