Wellcome to National Portal
জননিরাপত্তা বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ জুন ২০২৪

জনাব আসাদুজ্জামান খান, এম.পি

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান এম. পি ১৯৫০ সনের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা জেলার তেজগাঁও থানার মুনিপুরিপাড়ায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি মরহুম- আশরাফ আলী খান এবং মরহুম- আকরামুন নেসার দ্বিতীয় সন্তান।

 

১৯৬৫ সনে তেজগাঁও পলিটেকনিক হাই স্কুল হতে এস.এস.সি ও ১৯৬৭ সনে জগন্নাথ কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.এস.সি অনার্স সম্পন্ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি সত্তরের দশকে মঞ্চ নাটক করতেন এবং তুখোড় ব্যাডমিন্টন ও দাবা খেলোয়াড় ছিলেন।

 

তিনিঁ ছাত্র জীবন থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনিঁ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ২নং সেক্টর এর ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরীর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী-লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

 

জনাব আসাদুজ্জামান খান ২০০৮ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জানুয়ারি ২০১৪ সালে ১০ম জাতীয়  সংসদে নির্বাচিত হয়ে ১২ জানুয়ারি ২০১৪ সালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তার দক্ষতা, যোগ্যতা এবং দেশ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকেঁ পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন এবং ১৪ জুলাই ২০১৫ তারিখে তিনি পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। গত ৩০ শে ডিসেম্বর ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং যথারীতি মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করে দ্বিতীয় বারের মত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে একটানা তৃতীয়বারের মত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

 

তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, জলদস্যু ও চরমপন্থি নির্মূলের মাধ্যমে তিনি বর্তমানে বৈশ্বিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদ হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত।

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযানের মাধ্যমে দেশে মাদকের প্রকোপ কমিয়ে আনতে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।

 

তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান ও জাতিসংঘে টেকসই শান্তি সম্মেলনসহ বহু আন্তর্জাতিক সেমিনারে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় তিনি অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।

 

তাঁর নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অধিভূক্ত ১০ টি প্রতিষ্ঠান সত্যিকার অর্থে বিশ্বমানের নিরাপত্তা ও সেবা দানে প্রাগ্রসর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

 

তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগের স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।  প্রাইভেটাইজেশন বোর্ড এবং প্রেস কাউন্সিলেরও একজন সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

জনাব খান তেজগাঁও, রমনা, হাতিরঝিল ও দোহার এলাকায় স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন।

 

রাজনীতির পাশাপাশি একজন সমাজকর্মী হিসেবে তিনি সুপরিচিত। রাজনীতি ও সমাজকর্মের পাশাপাশি একজন লেখক হিসেবে তিনি সুপরিচিত। তিনিঁ বিভিন্ন সাময়িকী ও পত্র পত্রিকায় লেখালেখি করেন। আসাদুজ্জামান খান “নেতা মোদের শেখ মুজিব” গ্রন্থটি সম্পাদনা করেন এবং “বঙ্গবন্ধুর পথনির্দেশনার বাংলাদেশ” নামক গ্রন্থের লেখক।

 

আসাদুজ্জামান খান বই পড়া, পত্রিকা পড়া এবং ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। তাঁর সহধর্মিনী মিসেস লুৎফুল তাহমিনা খান। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক।